উখিয়া-টেকনাফের সাংসদ আবদুর রহমান বদি। সারা বাংলাদেশে আলোচিত এক নাম। নানা সময় তাকে নিয়ে হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। আর এসবের মধ্যে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দুইবার। এর আগে ছিলেন টেকনাফ পৌরসভার মেয়র। দেশের সীমান্ত এলাকার সংসদীয় আসন উখিয়া-টেকনাফ। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে যিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তার দলই সরকার গঠন করেছে। কিন্তু অনুপাতে এই এলাকার উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুর রহমান বদি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর পাল্টে যেতে থাকে এই এলাকার চিত্র। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুর রহমান বদি। বর্তমান সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির হাত ধরে উন্নয়নের ছোয়ায় পাল্টে যাচ্ছে সীমান্ত উপজেলা উখিয়া-টেকনাফ। স্বাধীনতা ৪০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি গত ছয় বছরে সেই উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবী করেছেন এই এলাকার জনগণ। অসীম ধৈর্য ও নেতৃত্বের দৃঢ়তার কারণে নিয়মিত ছুটে যান তার নির্বাচনি এলাকা উখিয়া-টেকনাফের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তিনি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ সর্বস্তরের নারী-পুরুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কার কি সমস্যা তা তিনি ধৈর্যসহকারে শোনেন, সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থাও করেন। এসব কারণে তার নির্বাচনি এলাকার মানুষের মন করেছেন জয় এবং আস্থা অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পরপর দুইবার কক্সবাজার-৪ আসন থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেন তার নির্বাচনি এলাকার জনগণের মাঝে। এছাড়া সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন সময় জন অসহায় মানুষের মাঝে চাল, কম্বল সহ নানা প্রয়োজনীয় জিনিস বিতরন করেন। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরন, রাস্তা-ঘাট সংস্কার করার ক্ষেত্রে তিনি সরকারের অনুদানের আশায় বসে না থেকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ দান করে সমস্যার সমাধান করেছেন। এছাড়াও তিনি অর্থায়নে উখিয়া-টেকনাফের প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। যা শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। রাস্তাঘাট-মসজিদ-মন্দির-মাদ্রাসার উন্নয়নের পাশাপাশি উখিয়া-টেকনাফের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় হাসপাতালের আসন বৃদ্ধি, দুই উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপন, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে দৃষ্টি নন্দন ১৫টি ব্রীজ-কালভার্ট নির্মান, অধিকাংশ এলাকায় সাইক্লোন শেল্টার, জেটি নির্মান, প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন, উখিয়ায় ৩ টি রাবার ড্যাম নির্মান সহ উন্নয়নের মাইলফলক স্থাপিত হয়েছে। এছাড়াও টেকনাফ সাবরাংয়ে ট্যুরিস্ট জোন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই জোনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। আর এর জন্য মেরিন ড্রাইভ রোডের নির্মান কাজ প্রায় শেষের পথে। দুই উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস, উখিয়া ও টেকনাফ কলেজে নতুন ভবন ও অনার্স চালু করা হয়েছে। আর এমপি বদির একান্ত প্রচেষ্টায় সরকারীকরন হতে যাচ্ছে উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ। উখিয়া উপজেলায় নতুন তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এসকল কারণে, উখিয়া-টেকনাফের লোকজন বলে মহাজোট সরকারের আমলে যে উন্নয়ন বিপ্লব ঘটেছে, তা অন্যকোনো সরকারের আমলে হয়নি। যা সম্ভব হয়েছে এমপি বদির সার্বিক প্রচেষ্টায়। তাই তাকে একজন সফল রাজনীতিক ব্যক্তি ও সফল এমপি বলেই মনে করেন এলাকাবাসী। সুত্র- আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি এম.পি fb থেকে সংগ্রহ
কুমিল্লা থেকে ঢাকা ফেরার পথে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ফের দুর্ঘটনার শিকার হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়ি। বৃহস্পতিবার (২৮ ...
পাঠকের মতামত